হোয়াটস অ্যাপে স্ট‍্যাটাস লিখে আত্মহত‍্যা যুবকের

21st April 2021 8:49 pm হুগলী
হোয়াটস অ্যাপে  স্ট‍্যাটাস লিখে আত্মহত‍্যা যুবকের


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  বৈদ্যবাটি রামমোহন সরণীর বাসিন্দা অমিত দাস(২৪) গত ১৮ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিলো।সেদিন রাত দশটায় তার দেওয়া স্ট্যাটাস প্রথম নজরে পরে অমিতের এক মামা গোপাল পালের।স্ট্যাটাসে দেখা যায় বালি ব্রীজে দাঁড়িয়ে অমিত একটি ভিডিও শুট করেছে।সেই ভিডিওতে সে বলছে,'আমার এটা করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না।পারলে আমাকে ক্ষমা কোরো সবাই।আজকে আমার জীবনটা শেষ হচ্ছে শুধু মাত্র সঙ্গীতার জন্য।ও আমার জীবনটাকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলো।তার আগে আমি নিজেকে শেষ করে দিচ্ছি।ও সায়ন্তনীর বিরুদ্ধে হয়ত পুলিশ কেস করবে।কিন্তু সায়ন্তনী নির্দোষ।সায়ন্তনীকে আমি আমার জীবনে এনে ছিলাম।সায়ন্তনীর যেন কিছু না হয়।আমি এটাই বলতে চাই,সঙ্গীতার জন্য আমার এই অবস্থা'।এরপর অমিত তার বাবা অমল দাসকে উদ্যেশ্য করে বলে,'বাবা তুমি আমাকে ক্ষমা কোরো।আমি তোমাকে একা রেখে যেতে চাইনি কিন্তু আমার কিছু করার নেই এরা আমাকে বাঁচতে দিলো না বাবা।আর এই ভিডিওটা সায়ন্তনীর জন্য যাতে ওকে কেউ কিছু না বলতে পারে'।
এই ভিডিও দেখার পর খোঁজাখুঁজি শুরু হয় যুবকের।বালি থানায় যায় তার পরিবার।বালি ব্রীজ বা দক্ষিণেশ্বরে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।পরদিন শ্রীরামপুর থানায় নিখোঁজ ডায়রি করা হয়।বুধবার খড়দা থানা এলাকায় গঙ্গা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়।অমিতের মামা শিশির মিত্র জানান,ভাগ্না ভিডিও গ্রাফির কাজ করে।নাবলক বয়সে সঙ্গীতা নামে একটি মেয়ের সঙ্গে তার ভালোবাসা ছিলো।বছর ছয়েক আগে সেই মেয়েটিকে নিয়ে চলে গিয়েছিলো অমিত।পরে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়।বর্তমানে রিষড়ার একটি মেয়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক তৈরী হয় তা নিয়ে কোনো অশান্তি হয়ে থাকতে পারে।ভিডিও দেখে যেটা বোঝা যাচ্ছে।ভাগ্না সাঁতার জানত না।তাকে এমন কিছু করা হয়েছে যে এই চরম পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে।ব্যারাকপুর মর্গে মৃতদেহ ময়না তদন্ত হয়।এখনো কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করেনি যুবকের পরিবার।।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।